খাবারে এক চামচ ঘি যোগ হওয়া মানে, স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে ওঠা। পোলাও-বিরিয়ানিতে ঘিয়ের ব্যবহার তো সবার জানাই, গরম ভাতেও এক চামচ ঘি নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস অনেকের। ঘি আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী, তেমনই উপকারী ত্বকের জন্যও। পুরাতন ঘি বাত-ব্যাথা-মচকানো রোগের মালিশ হিসেবেও আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে স্বীকৃত। খাওয়ার পাশাপাশি রূপচর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ঘি। চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-
- শুষ্ক ত্বকে অল্প ঘি মালিশে ত্বকের উপর একটি সুরক্ষার আস্তরণ তৈরি করে দেয় এবং ত্বক আরও শুকিয়ে যেতে দেয় না।
- ঘিয়ের ভিটামিন ই-এর মধ্যে অ্যান্টি-এজিং গুণ রয়েছে। প্রতিদিন অল্প ঘি খেলে আপনার ত্বক থাকবে টানটান, বলিরেখামুক্ত।
- গোসলের আগে তেলের পরিবর্তে চার-পাঁচ ফোঁটা ঘি নিয়ে তার সঙ্গে আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল পরিমাণমতো মিশিয়ে নিন। গোসলের আগে এই তেলটা সারা গায়ে মেখে নিন, ত্বক তুলতুলে নরম থাকবে সারা বছর।
- চোখের বলিরেখা দূর করতে চোখের পাতায় হালকা করে ঘি ম্যাসাজ করুন।
- অনেকের সারা বছর ঠোঁট ফাটে? ঘি ভালো লিপবাম হিসেবে কাজ করতে পারে। ঠোঁটে অল্প ঘষে নিন, ঠোঁট হয়ে ওঠবে কোমল, নরম আর চকচকে।